দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে পুনটুইট বিভ্রান্তিকর ভিডিও!

Political

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অমিত মিশ্রের (প্রমাণিত টুইটার হ্যান্ডল) টুইটের জবাবে ভিডিও সহ পুনরায় টুইট করেছিলেন, যে ভিডিওতে দেখানো হয়েছে বিজেপি নেতাকে জনগণ দ্বারা রাস্তার ওপরে হেনস্তা করা হচ্ছে।

Tweet Text:
“যদিও মোদি সরকার চার বছর পূর্ণ করেছে, কিন্তু গত চার বছরে স্থানীয় জনতা যা পেয়েছে, জনতা সেগুলি স্থানীয় বিজেপি নেতাদের ফিরিয়ে দিচ্ছে। একজন স্থানীয় বিজেপি নেতা স্থানীয় লোকেদের মধ্যে পৌঁছনোর পরে কি ঘটেছিল, সেটা দেখার জন্য এই ভিডিও দেখুন।”

মোদি সরকারের ৪ বছর পূর্ণ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু গত ৪ বছরে স্থানীয় জনতা যা পেয়েছে, জনতা সেগুলির জবাব স্থানীয় বিজেপি নেতাদের দিচ্ছে।

বিজেপি নেতা যখন এলাকায় জনতার মধ্যে গিয়ে পৌঁছয় তারপরে কি হোলো

এই ভিডিওতে দেখুন

আমাদের অনুসন্ধান অনুযায়ী এই ভিডিও দিল্লী থেকে ছিল না, যা বোঝা যাচ্ছে এটা একটা সাম্প্রতিক ভিডিও ছিল না। 5ই অক্টোবর 2017তে, নিউজ চ্যানেল, টাইমস নাও তাদের ওয়েবসাইটে এই ভিডিও আপলোড করেছিল।

পশ্চিমবাংলার বিজেপি প্রধান দিলীপ ঘোষকে দার্জিলিং-এ একটা মিটিং চলার সময়, অপরিচিত তরুণরা অভিযোগের ভিত্তিতে আক্রমণ করেছিল

এবং 5ই অক্টোবর 2017তে, টাইমস অফ ইন্ডিয়া রিপোর্ট করেছিল-

“কলকাতাঃ বিজেপি-এর পশ্চিমবঙ্গ ইউনিটের প্রধান দিলীপ ঘোষকে, বৃহস্পতিবার বহিষ্কৃত জনমুক্তি মোর্চা (জিজেএম) নেতা বিনয় তামাং-এর সমর্থকদের দ্বারা অভিযোগের ভিত্তিতে হেনস্তা করা হয়েছিল, যিনি গেরুয়া পার্টির নেতাদের সতর্ক করেছিলেন শান্তি এবং স্থায়িত্বের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে দিল্লী ছাড়ার জন্য।

ঘোষের তিনদিনের পাহাড়ে সফরের সময়, আলাদা রাজ্যের দাবিতে অশান্ত অবস্থার ফলে এই ঘটনাটা ঘটেছিল।

তামাং-এর সমর্থকরা ঘোষের বিরুদ্ধে একটা প্রতিবাদ প্রদর্শন করেছিল যখন তিনি দার্জিলিং-এ পৌঁছেছিলেন। যাই হোক না কেন, সমস্যা উস্কে দেওয়ার জন্য তিনি পাহাড়ে এসেছেন, এই অভিযোগ ঘোষ খণ্ডন করেছিলেন। খড়গপুরের এমএলএ তামাংকে একজন “বিশ্বাসঘাতক” বলেছিল।

বিনয় তামাং-এর সাপোর্টাররা ‘ফিরে যাও’ স্লোগান এবং কালো পতাকা দেখিয়ে ঘোষকে স্বাগত জানিয়েছিল। তার সহকর্মীদের, অভিযোগের ভিত্তিতে শারীরিক আক্রমণ করা হয়েছিল। দিলীপ নিজে চক বাজার পুলিশ স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছিলেন, পরে পার্টি তিনদিনের প্রোগ্রাম বাতিল করে দিয়েছিল। ঘোষ, এই ঘটনার জন্য শাসক টিএমসি-কে দোষারোপ করেছিলেন।”

সংক্ষেপে, এই ভিডিও জনগণকে বিভ্রান্তিকর ধারণা দিতে এবং একটা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে একটা পক্ষপাতপূর্ণ ধারণা তৈরী করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।